ইউরোপে ইলিগ্যাল ইমিগ্র্যান্টসদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারিতে রয়েছে
- Shimul Hossain

- Sep 7
- 1 min read
বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার প্রবণতা থামছে না, বরং ২০২৪ সালে তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইউরোপে ইলিগ্যাল ইমিগ্র্যান্টসদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারিতে রয়েছে। শুধু বছরের প্রথম ছয় মাসেই ২৫ হাজারেরও বেশি অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫,৬৪৪ জনই বাংলাদেশি নাগরিক। এই সংখ্যা আমাদের সমাজে একটি গভীর সংকটের ইঙ্গিত দেয়।

কেন বাড়ছে ইলিগ্যাল ইমিগ্রেশন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধান তিনটি কারণ সামনে আসছে:
চাকরির অভাব: দেশে তরুণদের জন্য টেকসই কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত।
দুর্বল শাসনব্যবস্থা: দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জটিলতা হতাশা বাড়াচ্ছে।
হতাশা ও ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা: অনেক তরুণ এখন যেকোনো মূল্যে বিদেশে যেতে চাইছে।
আইনের দুর্বলতা
মানবপাচার মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনো হতাশাজনক। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ২০২টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও ১৭৭টি মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছে—অর্থাৎ প্রায় ৯০% মামলাই কার্যকর হয়নি। প্রায় ৪ হাজার মামলা এখনো বিচারাধীন, যেখানে প্রভাবশালী পাচারচক্রের চাপ ভুক্তভোগীদের পিছিয়ে দিচ্ছে।
সরকারের দাবি বনাম বাস্তবতা
সরকার দাবি করছে পাচার রোধে তারা কড়া অবস্থানে এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ এখনো ন্যূনতম মান পূরণে ব্যর্থ এবং পাচারকারীদের শাস্তি প্রায়শই কেবল জরিমানায় সীমাবদ্ধ। ফলে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠছে না।
আসল প্রশ্ন
আজকের মূল প্রশ্ন হলো—এটা কি কেবল তরুণদের অন্ধ ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা, নাকি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার ফলাফল? সমাধান খুঁজতে হলে শুধু সীমান্তে নয়, দেশের ভেতরে কর্মসংস্থান, ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছ শাসন নিশ্চিত করতেই হবে।
ইলিগ্যাল ইমিগ্রেশন কোনো একক কারণের ফল নয়। এটি একদিকে তরুণদের হতাশা, অন্যদিকে সিস্টেমের দুর্বলতার সম্মিলিত প্রতিফলন। সমস্যার মূল শেকড়ে না পৌঁছালে কেবল সীমান্তে কঠোরতা এনে সমাধান মিলবে না।
_edited.jpg)



Comments