ইউকে তে ইমিগ্রেশন নিয়মে ব্যাপক পরিবর্তনের ঘোষণা ২০২৫ এ এসে - কি কি পরিবর্তন আসছে
- Shimul Hossain

- Jul 3
- 2 min read
যুক্তরাজ্য সরকার ২০২৫ সালে তাদের ইমিগ্রেশন সিস্টেমে বড় ধরণের সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। “Restoring Control over the Immigration System” শিরোনামের হোয়াইট পেপারে এসব প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হয়েছে।

নতুন এই নিয়মগুলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত যারা ইউকে-তে কাজ করছেন বা যেতে আগ্রহী।
ইউকে ইমিগ্রেশনে কেন এই পরিবর্তন?
২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে ইউকে-তে নেট মাইগ্রেশন ছিল প্রায় ১০ লাখ, যা ২০১৯ সালের তুলনায় চার গুণ বেশি। এই সংখ্যা কমাতে এবং দেশীয় শ্রমবাজারকে অগ্রাধিকার দিতে এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
ইউকে ইমিগ্রেশনের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনসমূহ
➡️ইমিগ্রেশন স্কিল সারচার্জ (ISC) বাড়ছে:
ছোট স্পন্সরদের জন্য: £৩৬৪ → £৪৮০ (প্রতি বছর)
বড় স্পন্সরের জন্য: £১,০০০ → £১,৩২০
➡️Skilled Worker ভিসায় পরিবর্তন:
শিক্ষাগত যোগ্যতা: A-লেভেল (RQF ৩) → গ্র্যাজুয়েট লেভেল (RQF ৬)
প্রায় ১৮০টি পদের স্পন্সর অপশন বাতিল হবে
বিদ্যমান ভিসাধারীরা রিনিউ করতে পারবেন
➡️বেতন সীমা:
বেসিক স্যালারি ও “going rate” বাড়তে পারে (বিস্তারিত এখনও আসেনি)
➡️গ্র্যাজুয়েট ভিসা:
মেয়াদ ২ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করা হচ্ছে
স্পন্সরড কাজ পাওয়ার সময় সীমা কমে যাচ্ছে
➡️স্থায়ী বসবাস (ILR):
আগের ৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর বসবাসে ILR পাওয়া যাবে
বড় অবদান রাখলে পয়েন্ট ভিত্তিক ছাড়ের সুযোগ
➡️ব্রিটিশ নাগরিকত্ব:
ILR পেলেই সিটিজেনশিপ নয়
ভাষা ও Life in the UK টেস্ট আরও কঠিন হচ্ছে
➡️ইংরেজি ভাষার যোগ্যতা:
প্রধান আবেদনকারীর জন্য: B1 → B2
পরিবারের সদস্যদের জন্য Settlement-এর আগে A1 → B2 পর্যন্ত প্রমাণ করতে হবে
➡️Social Care ভিসা বন্ধ:
এক্সপ্লয়টেশন রোধে কেয়ার ওয়ার্কার রুট বন্ধ করা হচ্ছে
২০২৮ পর্যন্ত বিদ্যমান ভিসাধারীরা এক্সটেনশন ও পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন
Temporary Shortage List (TSL):
আগের Shortage Occupation List বাতিল
কিছু স্কিলড কাজের জন্য নতুন তালিকা আসবে
TSL ভিসায় ডিপেন্ডেন্ট আনার সুযোগ নাও থাকতে পারে
অন্য পরিবর্তনসমূহ:
Global Talent রুট সহজ হবে
Innovator Founder স্কিম পুনর্বিবেচনা হবে
Biometric বাতিল করে সম্পূর্ণ e-Visa সিস্টেম চালু হতে পারে
এই পরিবর্তনগুলো এখনো আইনে পরিণত হয়নি। তাই যারা ইউকে যেতে চান বা স্পন্সর ভিসা পাওয়ার চিন্তা করছেন, তাদের উচিত দ্রুত পুরনো নিয়মে আবেদন সম্পন্ন করা।
এই পরিবর্তনগুলো ইউকে অভিবাসনকে অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও নিয়ন্ত্রিত করে তুলছে। বাংলাদেশি পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি সতর্কতা এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত সময়।
_edited.jpg)



Comments