top of page

গ্রিসে কৃষি শ্রমিকদের জন্য ভিসা সমস্যা সমাধানের পথে | গুরুত্বপূর্ণ আপডেট - 2025

জুন মাসের মধ্যেই গ্রিস সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা বিদেশি তৃতীয় বিশ্বের—বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, আলবেনিয়া, জর্জিয়া প্রভৃতির—কৃষি শ্রমিকদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত দীর্ঘপ্রতীক্ষিত সমস্যাগুলো সমাধান করে ফেলবে । ভিসা বিলম্বের মূল কারণ হিসেবে গ্রিসিয়ান কনস্যুলেটগুলোতে নিষ্ক্রিয়তা এবং কাগজপত্র যাচাই-প্রক্রিয়ার ধীরতার কথা উঠে এসেছে, যা ক্ষতি করে ন্যূনতম শ্রমিক রিক্রুটমেন্টের ও ফসল কাটার সময়সূচিতে।

গ্রিসে

সমস্যা কী?


➡️ভিসা প্রসেসিং বিলম্ব – কনস্যুলেট থেকে আবেদন যাচাই ও অনুমোদনে অতিরিক্ত সময় লাগায় ধারাবাহিকতা ভাঙছে।


➡️শ্রম সংকট – কৃষি, ক্ষুদ্র ও নির্ভরশীল উৎপাদন খাতে বিদেশি শ্রমিকদের ভূমিকা সীমিত হচ্ছে।


➡️অবৈধ অবস্থার– যেসব শ্রমিক নিয়মিতভাবে অনিয়ম করে দেশটিতে থেকে যায়, তাদের জন্য সরকারের একটি বিশেষ ‘রেসিডেন্স পারমিট ও কাজের অনুমতি’ স্কিম চালু হয়েছে, যা আনুমানিক ৩০,০০০ অভিবাসীকে সুবিধা দেবে—বিশেষ করে আলবেনিয়া, জর্জিয়া ও ফিলিপাইন থেকে আসা শ্রমিকদের জন্য ।


সরকারের পদক্ষেপ


মাইগ্রেশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ: দুই মন্ত্রণালয় মিলিতভাবে ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে দ্রুত আইন ও প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করছে—মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, মে–জুন সময়ের মধ্যেই বিষয়টির চূড়ান্ততা হবে ।


বিলম্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে ক্যাবিনেট অনুমোদন: মে মাসে পরিকল্পনা উপস্থাপন ও জুনেই আইন পাসের আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী ।


বিদেশি কৃষি শ্রমিক চুক্তি: মিসরের সঙ্গেও ৫,০০০ শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া গৃহীত হয়েছিল, কিন্তু অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে চুক্তি কার্যকর হয়নি ।


বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্য


➡️বাংলাদেশ প্রভূত গুরুত্ব পাবে: ইতিমধ্যে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে একটি MOU স্বাক্ষর হয়েছে, যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মৌসুমি কৃষি ভিসা সুবিধা দেবে। এর ফলে গ্রিসে কর্মীর সংখ্যা বাড়বে ও বাংলাদেশিরা বৈধভাবে কাজের সুযোগ পাবে।


➡️প্রেরিত রেমিট্যান্স বৃদ্ধি: কর্মীর সংখ্যা বাড়লে বাংলাদেশের পরিবারগুলোকে প্রেরিত অর্থের পরিমাণও বাড়বে—এটা গ্রাউন্ড‑লেভেলে অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।


➡️অবৈধতার ঝুঁকি কাটবে: বৈধ ভিসার কারণে অনিয়মিতভাবে অবস্থান করা থেকে মুক্তি মিলবে—এতে দীর্ঘমেয়াদি বৈধতাও পাওয়া যেতে পারে।


কীভাবে উপকৃত হবেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা?


➡️সরঞ্জামের সহজতা: জুনের মধ্যে বিলম্ব কাটিয়ে প্রবেশ ও কাজের অনুমোদন সহজতর হবে।


➡️বৈধ কর্ম অধিকার: বৈধ রেসিডেন্স এবং seasonal agricultural worker হিসেবে অত্যাধুনিক অধিকার নিশ্চিত হবে।


➡️বিস্তৃত সুযোগ: শুরুতে কৃষি খাতে সীমাবদ্ধ হলেও ভবিষ্যতে অন্যান্য সেক্টরে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার দ্বারও খুলে যেতে পারে।


➡️আর্থিক নিরাপত্তা: বৈধ রুটে যাওয়ায় ওয়েজ সুরক্ষা ও নিয়োগকারী সংস্থার দিক থেকে কাজের নিশ্চয়তা থাকবে।


আগামী চ্যালেঞ্জ


➡️শেনজেন চুক্তির বাধা: আইনগত কাঠামোতে কিছু ‘শেনজেন সেকেন্ডারি মুভমেন্ট’ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে যেতে পারে—যেমন, অন্য EU রাজ্যে প্রবেশ, পরিবার নিয়ে যাওয়ার বিষয় ইত্যাদি ।


➡️প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন: আইন পাসের পর প্রশাসনিক স্তরে কীভাবে কার্যকর করা যায়, তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


গ্রিস সরকার দেশের কৃষি খাতের সংকট নিরসনে ও সঠিক শিল্প খাতে বৈধ বিদেশি শ্রমিক নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিনের ভিসা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে।


বাংলাদেশের জন্য এটি এক দারুণ সুযোগ: বৈধভাবে, মর্যাদার সাথে ও নির্ভরযোগ্য সুযোগ থাকবে গ্রিসে বৈধ চাকরির নিয়োগে।


তবে গ্রিসের প্রশাসনিক কাঠামো ও শেনজেন আইন বাস্তবায়নের ধরণ পর্যবেক্ষণ করে সঠিক প্রস্তুতি ও তথ্যভিত্তিক কর্মসূচি নিতে হবে। কৃষি খাতকে নতুন প্রাণ দিতে ও শ্রমিকদের ভবিষ্যতের জন্য এটি হতে পারে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

Comments


Connect Us

Enhance your ability to seize opportunities in Europe by understanding accurate information at the right time.

Thanks for submitting!

© 2025 by Europe Bound.
All Right Reserved

bottom of page